রজবের ২৭ তারিখের আমল
পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের আমল ও রোজার বিষয়ে সহীহ হাদীছ সনদ সহকারে।
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، وَفِيهِ بَعَثَ اللهُ مُحَمَّدًا “، ” وَرُوِيَ ذَلِكَ بِإِسْنَادٍ آخَرَ أَضْعَفُ مِنْ هَذَا كَمَا ”
যেমন- হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত- প্রিয় নবী, হুজুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “রজবে এমন একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যে এদিন রোজা রাখবে, আর রাত জেগে ইবাদত করবে, তবে সে যেন ১০০ বছরের রোজা রাখল এবং ১০০ বছরের রাত জেগে ইবাদত করলো, আর তা হচ্ছে রজবের ২৭ তারিখ।” (শোয়ায়বুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৬, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৬৯, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১)
3531 – أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: ” فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ ”
রজব মাসে একটি রাত আছে ওই রাতের আমলকারীর সমস্ত আমলের ছওয়াব ১০০ গুণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে রাতটি হলো ২৭মে রজব। যে ব্যক্তি ওই রাতে ১২ রাকায়াত নামায আদায় করবে যাতে সূরা ফাতিহা সহ অন্য কোন আয়াত শরীফ পাঠ করবে প্রতি দু’রাকায়াতে তাশাহুদ (দুরুদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাছুরাসহ) পাঠ শেষে সালাম ফিরাবে। এবং নিম্নক্তো দুআ ১০০ বার পাঠ করবে-
سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ
অতপর ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করবে অতপর ১০০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে। ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যানকর যত দু‘আই করবে এবং সকালে রোযাদার অবস্থায় অবস্থান করবে তার সকল দু‘আই কবুল করা হবে, শুধুমাত্র গুণাহের কাজে জন্য দু‘আ ব্যতীত। (শোয়াবুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬পৃ, হাদিস-৩৫৩১, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৭ : হাদীস ১২, তাবয়িনুল আযাব বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৭০, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা, আসারুল মারফুয়া ১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯)
সূতরাং সবাই এই রাতে ইবাদত করে দিনে রোজা রেখে সহীহ হাদীসের উপর আমল করুন।
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، وَفِيهِ بَعَثَ اللهُ مُحَمَّدًا “، ” وَرُوِيَ ذَلِكَ بِإِسْنَادٍ آخَرَ أَضْعَفُ مِنْ هَذَا كَمَا ”
যেমন- হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত- প্রিয় নবী, হুজুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “রজবে এমন একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যে এদিন রোজা রাখবে, আর রাত জেগে ইবাদত করবে, তবে সে যেন ১০০ বছরের রোজা রাখল এবং ১০০ বছরের রাত জেগে ইবাদত করলো, আর তা হচ্ছে রজবের ২৭ তারিখ।” (শোয়ায়বুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৬, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৬৯, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১)
3531 – أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: ” فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ ”
রজব মাসে একটি রাত আছে ওই রাতের আমলকারীর সমস্ত আমলের ছওয়াব ১০০ গুণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে রাতটি হলো ২৭মে রজব। যে ব্যক্তি ওই রাতে ১২ রাকায়াত নামায আদায় করবে যাতে সূরা ফাতিহা সহ অন্য কোন আয়াত শরীফ পাঠ করবে প্রতি দু’রাকায়াতে তাশাহুদ (দুরুদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাছুরাসহ) পাঠ শেষে সালাম ফিরাবে। এবং নিম্নক্তো দুআ ১০০ বার পাঠ করবে-
سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ
অতপর ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করবে অতপর ১০০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে। ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যানকর যত দু‘আই করবে এবং সকালে রোযাদার অবস্থায় অবস্থান করবে তার সকল দু‘আই কবুল করা হবে, শুধুমাত্র গুণাহের কাজে জন্য দু‘আ ব্যতীত। (শোয়াবুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬পৃ, হাদিস-৩৫৩১, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৭ : হাদীস ১২, তাবয়িনুল আযাব বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৭০, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা, আসারুল মারফুয়া ১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯)
সূতরাং সবাই এই রাতে ইবাদত করে দিনে রোজা রেখে সহীহ হাদীসের উপর আমল করুন।
No comments