আবুল আলা মওদুদীর কুফুরী আক্বিদা

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা, বেয়াদব, কমবখ্ত, গোস্তাকে ইসলাম আবুল আলা মওদূদীর ভ্রান্ত এবং কুফুরী আক্বীদা সমূহ রেফারেন্সসহ নিম্নে পেশ করা হলোঃ
১। মওদূদী বলেছে, সমস্ত নবী গোনাহগার। -- (তাফহীমাত ২য় খন্ড ৫৭ পৃঃ)
২। মওদূদী বলেছে, নবী ও সাহাবীদের মধ্যে লোভ , লালসা , ঘৃনা-বিদ্ধেষ , কার্পন্য , স্বার্থপরতা ও প্রতিহিংসা ছিল , যারা ফলে ওহুদ যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন। ---( তাফহীমুল কুরআন ২য় খন্ড পৃঃ ৬০ , ৯৯ নং টীকা।)
৩। কুরআন নাযিল হওয়ার একশত বছর পরে তা পরিবর্তন হয়ে গেছে। --- (কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা পৃঃ ১৪ ও ১৫)
৪।মওদূদী বলেছে, আমাদের নবী তাঁর রেসালতের দায়িত্ব আদায়ে ভূল ত্রুটি করেছেন। ---- (তাফহীমুল ১৯ খন্ড পৃঃ ২৮৬ , ৪নং টীকা , কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা পৃঃ ১১৮)
৫। নবী আঃ এর মত লম্বা দাড়ি রাখা বা অন্যান্য কর্ম নবী আঃ এর মত করা মারাত্মক ধরনের বিদাত ও দ্বীনের বিপজ্জনক বিকৃতি।
---- (রাসায়েল ও মাসায়েল ১ম খন্ড পৃঃ ১৮২ ও ১৮৩ নং)

৬। হাদীসের দ্বারা যদি বেশি কিছু অর্জিত হয় তবে সহীহ হওয়ার ধারনার উপর দৃঢ় বিশ্বাস ইয়াকিন রাখা যায় না। ----( তরজমানুল কুরআন পৃঃ ২৬৭ খন্ড ২৬ সংখ্যা ৩)
৭। আল্লাহ পাকের বিধান অস্বীকার করে মওদূদী বলেছিলো - " যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা সেক্ষেত্রে যেনার কারনে ( আল্লাহ পাক উনার আদেশ কৃত ) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা জুলুম "( তাহফীমাত ২/২৮১)
নোট- অথচ জেনাকারীদের জন্যে রজমের শাস্তি স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজেই দিয়েছেন।
৮। ফেরেশতা ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেব-দেবী হিসাবে স্থির করেছে।----( তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দীন ১০ পৃ)
৯।হযরত আদম আলাইহিস সালাম মানবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন ----( তাহফীমুল কুরআন উর্দু ,৩/১২৩)
১০। হযরত নূহ আলাইহিস সালাম এর চিন্তা ধারার দিক থেকে দীনের চাহিদা থেকে সরে গিয়েছিলেন------( তাহফীমুল কুরআন ২/৩৪৪, ৩য় সংস্করন ,১৯৬৪ ইং )
১১। নবী হওয়ার পূর্বে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম দ্বারা একটি কবীরা গুনাহ হয়েছিলো ---( রাসায়েল ও মাসায়েল ১/৩১)
১২। মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না | অথাৎ তিনি মানবিক দুর্বলতার বশিভুত হয়ে গুনাহ করেছিলেন---( তরজমানুল কুরআন , ৮৫ সংখ্যা , ২৩০ পৃষ্ঠা , তরজমানুস সুন্নাহ ৩/৩০৫ )
১৩। কোরআনুল করীম নাজাতের জন্য নয়; নিছক হেদায়াতের জন্য -----(তাফহীমুল কোরআন ১ম খন্ড, ৩২১ পৃষ্ঠা)
১৪। হযরত আবু বকর সিদ্দিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অযোগ্য ছিলেন |"( তাজদীদ ও এহহীয়ায়ে দীন ২২ পৃ )
১৫। হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার মাঝে স্বজন প্রীতীর বদগুন বিদ্যমান ছিলো ---( খেলাফত ও মুলকিয়াত ৯৯ পৃ )
১৬। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খেলাফত কালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নাই !----( খেলাফত এ মুলকিয়াত ১৪৬ পৃ)
১৭। হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু স্বর্থবাদী , গনিমতের মাল আত্বসাৎকারী , মিথ্যা সাক্ষ্য গ্রহনকারী ও অত্যাচারী ছিলেন ----( খেলাফত ও মুলকিয়াত ১৭৩ পৃ)
১৮। সাহাবায়ে কিরাম অনেকে মনগড়া হাদীস বর্ননা করেছেন---- ( তরজুমানুল কুরআন ,৩৫ সংখ্যা)
১৯। হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম তৎকালীন যুগে ইসরাঈলী সোসাইটি দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে এক বিবাহীত যুবতীর উপর আসক্ত হয়ে তাকে বিবাহ করার জন্য তার স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করেছিলেন----( তাহফিমাত ২/৪২, ২য় সংস্করণ , নির্বাচিত রচনাবলী ২/৭৩ , আধুনিক প্রকাশনী ১ম প্রকাশ ১৯৯১ ইং)
২০। হযরত দাউদ আলাইহিসসালাম উনার কাজের মধ্যে নফস ও অভ্যন্তরীন কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল ছিলো----( তাহফীমুল কুরআন উর্দু, ৪/৩২৭, সূরা রাদ এর তাফসীর , অক্টোবর ১৯৬৬, ১ম সংস্করণ )
২১। রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবুওয়তের ২৩ বছরের দায়িত্ব পালনে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি করেছেন
----(তাফহীমুল কোরআন: ১৯ তম খন্ড ২৯০ পৃষ্ঠা, আবদুল মান্নান তালিব অনুদিত)
২২। রাসূল না অতিমানব না মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত। তিনি যেমন খোদার ধনভান্ডারের মালিক নন, তেমনি খোদার অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী নন বলে সর্বজ্ঞও নন। তিনি অপরের কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধন তো দূরে, নিজের কোন কল্যাণ বা অকল্যাণ করতেও অক্ষম।
---- (সূত্র: লন্ডনের ভাষণ: সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী, মুদ্রণে: অরিয়েন্টাল প্রেস, ১৩, কারকুনবাড়ি লেন, ঢাকা। প্রথম মুদ্রণ ১১ অক্টোবর, ১৯৭৬ ইং)
২৩। দাজ্জাল কখন কোথায় আবির্ভূত হবে হযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানানো হয়নি। তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে যা বলেছেন- প্রকৃতপক্ষে তা তাঁর কাল্পনিক ও অনুমান মাত্র। এ ব্যাপারে তিনি নিজেও সন্দিহান ছিলেন।
----- (সূত্র:তরজুমানুল কোরআন- পৃষ্ঠা ৪৬)
২৪। আলেম ব্যক্তির জন্য ‘তাক্বলীদ’ বা মাযহাব গ্রহণ কবীরা গুনাহ; বরং তার চেয়েও জঘন্য।
----(ইসলামী রেনেঁসা আন্দোলন)
২৫। কোন নবী বা অলীর মাজার জেয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা হারাম ( ইবনে তাইমিয়া, মওদুদী ও মৌং আবদুর রহীম)
২৫। কোরআন বুঝার জন্য কোন তাফসীরের প্রয়োজন নেই। একজন দক্ষ প্রফেসরই যথেষ্ট। (তানক্বীহাত, পৃষ্ঠা ৩১২)
২৬। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরবের মধ্যে যে বিশেষ সফলতা অর্জিত হয়েছে, তার কারণ এটাই ছিল যে, তাঁর ভাগ্যে আরবের উত্তম মানবীয় পূঁজি জোটে ছিল। তিনি যদি সাহসহীন, দুর্বল ইচ্ছা শক্তি সম্পন্ন অযোগ্য মানুষের দল পেতেন তারপরও কি এ সফলতা অর্জন হতো?
-----(তাহরীকে ইসলামী কি আখলাকী বুনিয়াদী, পৃষ্ঠা: ১৭)
২৭। ইসলাম কোন ধর্ম নয়, বরং জিহাদের নাম। নামায কোন ইবাদাত নয় বরং জিহাদের ট্রেনিং মাত্র। (নামাযের হাকীকত: মওদুদী)
এমন আক্বীদা কি কোন মুসলিম ব্যক্তি পোষন করতে পারে ??
এরা কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়?
এরা পবিত্র ধর্ম ইসলামের নাম ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারনা করছে যুগ যুগ যাবত। এই কুলাঙ্গার ও ভন্ডদের প্রতিহত করা মুমিন মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব।
আল্লাহ পাক আমাদের এদের ফিতনা থেকে হেফাযত করুন। (আমীন)

11 comments:

  1. আফসোস! একজন মানুষের বিরোধিতা করতে গিয়ে কতগুলো মিথ্যা ছড়ালেন। কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা বইয়ে সর্বমোট পৃষ্ঠা আছে ১১২ টি। আর লেখক ৪নং এ লিখেছেন ১১৮। যাইহোক আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দিন। এই দোয়া করি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আছে। অন্য একটি পাবলিকেশনের বইতে পড়ুন পাবেন। পৃষ্ঠা নাম্বার কম বেশি হয়ে থাকে।
      আমি একটু আগেই দেখেছি মৌলিক পরিভাষার শেষ পাতায়।

      আবার, তাহফিমুল কুরআনে সূরা নাসরের তাফসির দেখুন পেয়ে যাবেন শতভাগ। কোন মিথ্যাচার করা হয় নাই।

      Delete
  2. মওদুদি রাহিমাহুল্লার পায়ের ধুলার সমানও হতে পারবেনা

    ReplyDelete
    Replies
    1. মওদুদী এই উম্মাতের একজন ঈমানদার রিক্সাওয়ালা ভাইয়ের পায়ের ধূলার হওয়ার যোগ্যতা নাই

      Delete
  3. আহ, একজন আলেমের বদনাম ছড়াতে গিয়ে, নিজের ইমান টাই বিক্রি করে দিলেন। আপনি কোন জাতের দালল,এ-ই বদমাইশ,প্রতারক,বিবাদ সৃষ্টি কারি জানুয়ার। তাফহিমুল কুরআনের যেই রেফারেন্স দিলি দার কোন মিল নেই। তুই পড়চছ তাফহিমুল কুরআন, ঐ বেয়াদব।কাদের বিরুদ্ধে কথা বলিস, সাবধান,এ-ই জমিন থেকেযাদেররক্তের গন্ধ আসে, তাদের বিরুদ্ধে।

    ReplyDelete
  4. দালাল...... ভণ্ড যে তাহফীমুল কুরআনের ২৮৬ পৃষ্ঠা লিখেছে পাইল কোথায়.....

    ReplyDelete
    Replies
    1. আছে। পৃষ্ঠা নাম্বার লাগবে না। আপনি সূরা নাসর এর তাফসির পড়ুন মওদুদীর তাহফিমুল কুরআন থেকে।

      পৃষ্ঠা নাম্বার ভিন্ন হয়ে থাকে সর্বদাই পাবলিকেশনের ভিন্নতার জন্য। তথ্য একই আছে। অন্ধ ভক্তি ঈমানের জন্য ধ্বংসাত্মক।

      Delete
  5. আমিও তহফিমের সাথে আপনাদের দেওয়া পৃষ্ঠার লেখার কোনো মিল পাইনা, যদি সম্ভব হয় কোন সুরার কত তম আয়াতের ব্যাখ্যা সেটা বলেন। নাহলে আপনারা মিথ্যাবাদি প্রমাণিত হবেন।

    ReplyDelete
  6. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  7. সূরা আন-নাসরে তাসবীহ, হামদ এবং ইস্তেগফার পাঠ করার নির্দেশনা কাকে দেওয়া হয়েছে?
    রাসূল সাঃ কে নির্দেশনা দেওয়া হলে কেন তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলো?

    রাসূল সাঃ আল্লাহর সৃষ্টি। তাই তার যেন এটা মনে না হয় যে, এই সফলতার পিছনে তার প্রচেষ্টা এবং সাধনাই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে এবং একমাত্র আল্লাহই জানেন তিনি নির্ভুল ছিলেন কি-না।
    আপনি কি বলে,, রাসূল সাঃ নিজেই জানতেন যে তিনি নির্ভুল ছিলেন?

    ভুল আদৌ হয়েছে কি-না তা বলা হয় নাই, কিন্তু তিনি যে নির্ভুল এটা যেন নিজে নিজেই ভেবে না বসেন তাই ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

    আর রাসূল সাঃও দিনে ৭০ বারের বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতেন কারণ তিনি নিজেকে নির্ভুল ভাবতেন না। নির্ভুল ভাবলে কি ইস্তেগফার করার প্রয়োজন পড়তো?



    আর সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী রহঃ এটাই লিখেছেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, স্বয়ং আল্লাহর শ্রেষ্ঠ রাসূলকেই যখন এই নির্দেশনা দেওয়া হলো সেখানে আমরা যেন কোনোভাবেই এটা মনে না করি যে, আমরা সবকিছু সঠিকভাবে করে ফেলেছি কিংবা আমার নিজ সাধনাই আমার সাফল্যের কারণ।

    তিনি উক্ত সূরার তাফসীরে সূল সাঃ কে গুনাহগার উল্লেখ করেননি। যদি করতেন তবে তার জন্য ফরজ হতো যে, রাসূল সাঃ কি গুনাহ করেছেন তা উল্লেখ করা।
    নাউজুবিল্লাহ।

    ReplyDelete

Powered by Blogger.