শয়তান থেকে বাঁচার উপায়
প্রশ্ন: শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। বিভিন্ন পন্থায় শয়তান প্ররোচনা দেয়। শয়তানের প্ররোচনা হতে বাঁচার উপায় জানিয়ে ধন্য করবেন।
উত্তর: পবিত্র ক্বোরআনে ‘‘শয়তানের কথা মহান আল্লাহ্ তা‘আলা বহুবার উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা শয়তানকে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু বলে ঘোষণা করেছেন এবং শয়তানকে অনুসরণ না করার তাগিদ প্রদান করে ইরশাদ করেছেন- ولاتتبعوا خطوات الشيطن أنّه لكم عَدُوّ مُبِيْنٌ- অর্থাৎ- এবং তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না; নিশ্চয় সে (শয়তান) তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [সূরা বাকারা: আয়াত- ২০৮]
এ আয়াতের আলোকে শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু হলেও মানুষ তাকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখে না- ফলে শয়তানকে প্রতিহত করা বা তার ফাঁদ হতে বেঁচে থাকা সাধারণ মানুষের পক্ষে কষ্ট সাধ্য। তবে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হাদীসে পাকে শয়তান হতে বেঁচে থাকার উপায় উল্লেখ করে ইরশাদ করেছেন-عن ابو هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يأتى الشيطانُ احدكم فيقول مَنْ كذا مَنْ خَلَقَ كذا حتى يقول مَنْ خلق ربك فاذا بَلَغَهُ فَلْيَستَعِذ باللهِ ولَينْتَه- (متفق عليه)
অর্থাৎ- সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- শয়তান তোমাদের কারো নিকট এসে বলে, অমুক বস্তুকে কে সৃষ্টি করেছে? অমুক বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এমন কি সে বলে তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? যখন এতটুকুতে পৌঁছে যাবে তখন ‘আওজু বিল্লাহ্’ বলে আল্লাহ্র কাছে শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে আশ্রয় চাও এবং (এ বিষয়ে) বিরত থাক। [বোখারী ও মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ]
মেশকাত শরীফে আরো বর্ণিত রয়েছে-
فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذالك شيئًا فَلْيَقُلْ امَنْتُ بِالله ورسوله- (متفق عليه)
অর্থাৎ- অতঃপর যার অন্তরে এরূপ কুমন্ত্রণা ও বাজে খেয়াল আসবে সাথে সাথে বলবে আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান এনেছি। [বোখারী ও মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ- পৃষ্ঠা- ১৮] আরো বর্ণিত আছে যে, অন্তরে খারাপ ধারনা সৃষ্টি হলে বা শয়তান মন্দ প্ররোচনা দিলে, ইস্তেগফার ও সূরা ইখলাস পাঠ করবে। তারপর নিজের বাম দিকে তিন বার থুথু নিক্ষেপ করবে আর বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্র কাছে পানাহ্ চাইবে।
তাছাড়া মনের মধ্যে শয়তানী প্ররোচনা/প্রতারণা উপলব্ধি হলে তাৎক্ষণিকভাবে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করে শয়তানকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করবে এবং মনের ওয়াস-ওয়াসা অন্তরেই শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করবে এবং তা কাজে পরিণত/বাস্তবায়ন করার পূর্বেই বেশি বেশি আল্লাহর জিকির, প্রিয় নবীর উপর দরূদ পাঠ করে শয়তান-এর কুমন্ত্রণা ও প্রচারণা হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং আজে-বাজে খারাপ কল্পনা-ঝল্পনা থেকেও বেচে থাকার চেষ্টা করবে। বর্তমান সময়ের অপসংস্কৃতি- আকাশ মিডিয়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত অশ্লীল ছায়াছবি, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও নগ্নতায় ভরা প্যাকেজ অনুষ্ঠান হতে নিজেও বেঁেচ থাকবে, ছেলে-সন্তানদেরকে বিরত রাখবে।
[সহীহ মুসলিম, মেশকাত শরীফ ও মেরকাত শরহে মেশকাত ইত্যাদি]
উত্তর: পবিত্র ক্বোরআনে ‘‘শয়তানের কথা মহান আল্লাহ্ তা‘আলা বহুবার উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা শয়তানকে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু বলে ঘোষণা করেছেন এবং শয়তানকে অনুসরণ না করার তাগিদ প্রদান করে ইরশাদ করেছেন- ولاتتبعوا خطوات الشيطن أنّه لكم عَدُوّ مُبِيْنٌ- অর্থাৎ- এবং তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না; নিশ্চয় সে (শয়তান) তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [সূরা বাকারা: আয়াত- ২০৮]
এ আয়াতের আলোকে শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু হলেও মানুষ তাকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখে না- ফলে শয়তানকে প্রতিহত করা বা তার ফাঁদ হতে বেঁচে থাকা সাধারণ মানুষের পক্ষে কষ্ট সাধ্য। তবে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হাদীসে পাকে শয়তান হতে বেঁচে থাকার উপায় উল্লেখ করে ইরশাদ করেছেন-عن ابو هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يأتى الشيطانُ احدكم فيقول مَنْ كذا مَنْ خَلَقَ كذا حتى يقول مَنْ خلق ربك فاذا بَلَغَهُ فَلْيَستَعِذ باللهِ ولَينْتَه- (متفق عليه)
অর্থাৎ- সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- শয়তান তোমাদের কারো নিকট এসে বলে, অমুক বস্তুকে কে সৃষ্টি করেছে? অমুক বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এমন কি সে বলে তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? যখন এতটুকুতে পৌঁছে যাবে তখন ‘আওজু বিল্লাহ্’ বলে আল্লাহ্র কাছে শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে আশ্রয় চাও এবং (এ বিষয়ে) বিরত থাক। [বোখারী ও মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ]
মেশকাত শরীফে আরো বর্ণিত রয়েছে-
فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذالك شيئًا فَلْيَقُلْ امَنْتُ بِالله ورسوله- (متفق عليه)
অর্থাৎ- অতঃপর যার অন্তরে এরূপ কুমন্ত্রণা ও বাজে খেয়াল আসবে সাথে সাথে বলবে আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান এনেছি। [বোখারী ও মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ- পৃষ্ঠা- ১৮] আরো বর্ণিত আছে যে, অন্তরে খারাপ ধারনা সৃষ্টি হলে বা শয়তান মন্দ প্ররোচনা দিলে, ইস্তেগফার ও সূরা ইখলাস পাঠ করবে। তারপর নিজের বাম দিকে তিন বার থুথু নিক্ষেপ করবে আর বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্র কাছে পানাহ্ চাইবে।
তাছাড়া মনের মধ্যে শয়তানী প্ররোচনা/প্রতারণা উপলব্ধি হলে তাৎক্ষণিকভাবে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করে শয়তানকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করবে এবং মনের ওয়াস-ওয়াসা অন্তরেই শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করবে এবং তা কাজে পরিণত/বাস্তবায়ন করার পূর্বেই বেশি বেশি আল্লাহর জিকির, প্রিয় নবীর উপর দরূদ পাঠ করে শয়তান-এর কুমন্ত্রণা ও প্রচারণা হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং আজে-বাজে খারাপ কল্পনা-ঝল্পনা থেকেও বেচে থাকার চেষ্টা করবে। বর্তমান সময়ের অপসংস্কৃতি- আকাশ মিডিয়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত অশ্লীল ছায়াছবি, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও নগ্নতায় ভরা প্যাকেজ অনুষ্ঠান হতে নিজেও বেঁেচ থাকবে, ছেলে-সন্তানদেরকে বিরত রাখবে।
[সহীহ মুসলিম, মেশকাত শরীফ ও মেরকাত শরহে মেশকাত ইত্যাদি]
No comments