ইস্তেখারার নামাজ
ইস্তেখারার বিভিন্ন পদ্ধতি
যেহেতু ইস্তেখারা হলো রব তায়ালার নিকট মঙ্গল কামনা করা কিংবা কারো কাছ থেকে মঙ্গলের জন্য পরামর্শ করারই নাম, তাই বিভিন্ন দোয়ার মাধ্যমে মহান প্রতিপালকের নিকট ইস্তেখারা করা হয়ে থাকে। এর মধ্য থেকে একটি দোয়া নামাযের পরে করা হয়ে থাকে। তাই সেই নামাযকে ইস্তেখারার নামায বলা হয়।
ইস্তেখারার নামাযের পদ্ধতি
কেউ যদি কোন কাজ করার ইচ্ছা করে, তবে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। তারপর দোয়া করবে:
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَاَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَاَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ فَاِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا اَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا اَعْلَمُ وَاَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ اَللّٰهُمَّ اِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ خَيْرٌ لِّىْ فِىْ دِيْنِىْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِىْ اَوْ قَالَ عَاجِلِ اَمْرِىْ وَاٰجِلِهٖ فَاقْدِرْهُ لِىْ وَيَسِّرْهُ لِىْ ثُمَّ بَارِكْ لِىْ فِيْهِ وَاِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ شَرٌّ لِّىْ فِىْ دِيْنِىْ ومَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِىْ اَوْ قَالَ عَاجِلِ اَمْرِىْ وَاٰجِلِهٖ فَاصْرِفْهُ عَنِّىْ وَاصْرِفْنِىْ عَنْهُ وَاقْدِرْلِىَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِىْ بِهٖ
হে আল্লাহ! আমি তোমার জ্ঞানের মাধ্যমে তোমার নিকট মঙ্গল কামনা করছি এবং তোমার ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমতা প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট তোমার মহান করুণা প্রার্থনা করছি, কেননা তুমিই ক্ষমতার একক মালিক। আমি কোন ক্ষমতাই রাখি না। তুমিই সব কিছু জ্ঞাত, আমি কিছুই জানি না। তুমিই গোপন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখো। হে আল্লাহ! তোমার জানা মতে, এই কাজটিতে (যেই কাজের ইচ্ছা আমি করেছি) যদি আমার দ্বীন, ঈমান, জীবন এবং স্বপক্ষে ফলাফল স্বরূপ দুনিয়া ও আখিরাতে আমার জন্য উত্তম হয়ে থাকে, তবে একে আমার জন্য লিখে দাও এবং আমার জন্য সহজতর করে দাও, এতে আমার জন্য বরকত দাও। হে আল্লাহ! তোমার জ্ঞান অনুযায়ী কাজটি যদি আমার পক্ষে আমার দ্বীন, ঈমান, জীবন এবং স্বপক্ষে ফলাফল স্বরূপ দুনিয়া ও আখিরাতে মন্দ হয়ে থাকে, তবে তুমি তা আমার থেকে এবং আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে দাও এবং যা আমার জন্য ভাল হয়, সেটিকে আমার ভাগ্যে জুটিয়ে দাও এবং আমাকে এতে করে দাও। (বুখারী, কিতাবুত তাহাজ্জুদ, ১/৩৯৩, হাদীস- ১১৬২ ও রদ্দুল মুহতার, কিতাবুস সালাত, ২/৫৬৯)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: হাদীস শরীফে বর্ণিত এই দোয়াটিতে ‘هٰذَا الْاَمْرَ’ এর স্থলে ইচ্ছা হলে আপনার চাহিদার নাম নিতে পারেন, কিংবা এর পরে। অর্থাৎ আরবি জানা থাকলে এই স্থলে নিজের চাহিদার কথা উল্লেখ করবে। (রদ্দুল মুহতার, ২/৫৭০) অর্থাৎ আরবি জানা থাকলে এই স্থলে নিজের চাহিদার কথা উল্লেখ করবে। তার মানে ‘ هٰذَا الْاَمْرَ ’ এর স্থলে নিজের চাহিদা উল্লেখ করবে। যেমন; ‘ هذَاا لسَّفر ’ বা ‘ هٰذَاالنِّکَاح ’ কিংবা ‘ هٰذَا التِجَارَة ’ বা ‘هٰذَاالْبَيْعَ ’ বলবে আর যদি আরবি জানা না থাকে, তবে ‘هٰذَا الْاَمْرَ’ বলে মনে মনে নিজের সেই কাজটির খেয়াল করবে যার জন্য ইস্তেখারা করা হচ্ছে।
যেহেতু ইস্তেখারা হলো রব তায়ালার নিকট মঙ্গল কামনা করা কিংবা কারো কাছ থেকে মঙ্গলের জন্য পরামর্শ করারই নাম, তাই বিভিন্ন দোয়ার মাধ্যমে মহান প্রতিপালকের নিকট ইস্তেখারা করা হয়ে থাকে। এর মধ্য থেকে একটি দোয়া নামাযের পরে করা হয়ে থাকে। তাই সেই নামাযকে ইস্তেখারার নামায বলা হয়।
ইস্তেখারার নামাযের পদ্ধতি
কেউ যদি কোন কাজ করার ইচ্ছা করে, তবে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। তারপর দোয়া করবে:
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَاَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَاَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ فَاِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا اَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا اَعْلَمُ وَاَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ اَللّٰهُمَّ اِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ خَيْرٌ لِّىْ فِىْ دِيْنِىْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِىْ اَوْ قَالَ عَاجِلِ اَمْرِىْ وَاٰجِلِهٖ فَاقْدِرْهُ لِىْ وَيَسِّرْهُ لِىْ ثُمَّ بَارِكْ لِىْ فِيْهِ وَاِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ شَرٌّ لِّىْ فِىْ دِيْنِىْ ومَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِىْ اَوْ قَالَ عَاجِلِ اَمْرِىْ وَاٰجِلِهٖ فَاصْرِفْهُ عَنِّىْ وَاصْرِفْنِىْ عَنْهُ وَاقْدِرْلِىَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِىْ بِهٖ
হে আল্লাহ! আমি তোমার জ্ঞানের মাধ্যমে তোমার নিকট মঙ্গল কামনা করছি এবং তোমার ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমতা প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট তোমার মহান করুণা প্রার্থনা করছি, কেননা তুমিই ক্ষমতার একক মালিক। আমি কোন ক্ষমতাই রাখি না। তুমিই সব কিছু জ্ঞাত, আমি কিছুই জানি না। তুমিই গোপন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখো। হে আল্লাহ! তোমার জানা মতে, এই কাজটিতে (যেই কাজের ইচ্ছা আমি করেছি) যদি আমার দ্বীন, ঈমান, জীবন এবং স্বপক্ষে ফলাফল স্বরূপ দুনিয়া ও আখিরাতে আমার জন্য উত্তম হয়ে থাকে, তবে একে আমার জন্য লিখে দাও এবং আমার জন্য সহজতর করে দাও, এতে আমার জন্য বরকত দাও। হে আল্লাহ! তোমার জ্ঞান অনুযায়ী কাজটি যদি আমার পক্ষে আমার দ্বীন, ঈমান, জীবন এবং স্বপক্ষে ফলাফল স্বরূপ দুনিয়া ও আখিরাতে মন্দ হয়ে থাকে, তবে তুমি তা আমার থেকে এবং আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে দাও এবং যা আমার জন্য ভাল হয়, সেটিকে আমার ভাগ্যে জুটিয়ে দাও এবং আমাকে এতে করে দাও। (বুখারী, কিতাবুত তাহাজ্জুদ, ১/৩৯৩, হাদীস- ১১৬২ ও রদ্দুল মুহতার, কিতাবুস সালাত, ২/৫৬৯)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: হাদীস শরীফে বর্ণিত এই দোয়াটিতে ‘هٰذَا الْاَمْرَ’ এর স্থলে ইচ্ছা হলে আপনার চাহিদার নাম নিতে পারেন, কিংবা এর পরে। অর্থাৎ আরবি জানা থাকলে এই স্থলে নিজের চাহিদার কথা উল্লেখ করবে। (রদ্দুল মুহতার, ২/৫৭০) অর্থাৎ আরবি জানা থাকলে এই স্থলে নিজের চাহিদার কথা উল্লেখ করবে। তার মানে ‘ هٰذَا الْاَمْرَ ’ এর স্থলে নিজের চাহিদা উল্লেখ করবে। যেমন; ‘ هذَاا لسَّفر ’ বা ‘ هٰذَاالنِّکَاح ’ কিংবা ‘ هٰذَا التِجَارَة ’ বা ‘هٰذَاالْبَيْعَ ’ বলবে আর যদি আরবি জানা না থাকে, তবে ‘هٰذَا الْاَمْرَ’ বলে মনে মনে নিজের সেই কাজটির খেয়াল করবে যার জন্য ইস্তেখারা করা হচ্ছে।
No comments