বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলা
#জাতির #পিতা #সমাচার
লেখকঃ-হাসনাইন আহমদ কাদেরী
সম্মানিত পাঠকগন,আমি অনলাইনে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব দিয়ে থাকি সুবাধে গত কয়েকদিন "জাতির পিতা বিষয়ক আমি বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম।
তারমধ্যে দুটি প্রশ্নের জাওয়াব দেয়াকে আমি প্রয়োজন মনে করেছি।
আমার অনুরোধ, আমার লেখায় কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব,বা দালালি অর্থ তালাশ করবেননা।
প্রশ্নঃ-
১.কাউকে জাতির পিতা বলা যাবে কিনা?
২.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুসলিম জাতীর পিতা বললে অসুবিধা কি?
আমি চিন্তা করলাম বিষয়গুলোর জাওয়াব দেয়া খুবই প্রয়োজন, কারন বিষয়টি শুধু রাজনৈতিক নয় ধর্মীয় বিশ্বাসেরও ব্যাপার রয়েছে,কারন এটা আমরা জানি মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আঃ।
তাই আমি আাশা করবো আমার লিখাটি সম্পুর্ন না পড়ে খারাপ কোন মন্তব্য করবেননা।
১.প্রথম প্রশ্নের জাওয়াবঃ-
আমরা বাংলাদেশের নাগরীক,ভাষা আমাদের বাংলা। এই দেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ইত্যাদী সকল ধর্মের মানুষ বাঙ্গালী জাতী।এজন্য আমাদেরকে এই দেশের সরকার "জাতীয় পরিচয় পত্র" দিয়ে থাকেন,যা ধর্মীয় সুত্রে নয় বরং শুধুমাত্র এই দেশের নাগরীক হওয়ার কারনে।তাই "জাতী" বলতে শুধু মুসলিমজাতি বুঝাবে এই অর্থ ঠিক নয়।
জাতীর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে,যেমন-মানব হিসবে আমরা মানবজাতি।আবার এই মানবজাতির বিভিন্ন প্রকার রয়েছে,যেমন -পুরুষজাতি,নারীজাতি ইত্যাদি।অপরদিকে প্রানী জগতে পশুজাতি রয়েছে,এবং যাদের জাতিগত বিভিন্ন প্রকার রয়েছে।
তাই জাতি বলতে শুধু মুসলিম জাতি বুঝাবে এই ধারনা কখনো সঠিক নয়।জাতি ধর্মীয়ও হতে স্বাধীনতায় অর্জিত ভাষাগত জাতিও হতে পারে।
আর এই জাতীর স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষ যদি কাউকে স্হপতি হিসেবে জাতীর পিতা বলে এতে শুধু মুসলিম জাতির পিতা বুঝা যেমন ঠিক নয়,বুঝানোও ঠিক নয়।
কারন বাংলাদেশে নাগরিক হিসেবে শুধু মুসলিম আছে যে তা নয়,এখানে ভিন্ন ধর্মের লোকও নাগরিক হিসেবে বসবাস করছে।তাই কেউ কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বা স্হপতি হিসেবে "জাতির পিতা" বললে তাহলে শরীয়তে দৃষ্টিতে আমি কোন অসুবিধা দেখতে পাইনা।
দ্রঃ-খেয়াল রাখতে হবে শুধু উদ্যোক্তার উদ্যোগে একটা কাজ সফল হয়না।কর্মীদের রক্তঝরা অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে উদ্যোক্তাকে সফল করে থাকে।আর ঐ কর্মীদের প্রতি জনগনের কেউ সঠিক অর্থে ভালবাসা বহিঃপ্রকাশ করলে,তাদেরকে হয়রানি করা অন্যায় বলে বিবেচিত হবে।কর্মীদের অবদান স্বরন করাও বাঙ্গালী জাতীর কর্তব্য।
২.দ্বিতীয় প্রশ্নের জাওয়াবঃ-
শুধু মুসলিম জাতির পিতা বলতে বিষয়টি ধর্মীয় আকিদার অন্তর্ভুক্ত হবে।মুসলিম জাতীর পিতা হিসেবে আমরা কোরআন ও হাদীসে ইব্রাহিম আঃ কে দেখতে পাই।তাই কেউ যদি জাতীর পিতা বলতে সমগ্র মুসলিম জাতীর পিতা "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে" বুঝায়, তাহলে বিষয়টি সরাসরি কোরআন সুন্নাহ বিরোধী হবে,এবং তার আকিদা নষ্ট হয়ে যাবে।
দ্রঃ-কেউ যদি রাজনৈতিক কারনে কাউকে বাঙ্গালী জাতীর স্বাধীনতার স্হপতি হিসেবে মানতে না চায়, এটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার।আমি শুধু প্রশ্নের আলোকে "জাতির পিতা" এই কথাটির রাষ্ট্রীয়,ধর্মীয় ওজনগনের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে জাওয়াব পেশ করেছি।
রাষ্ট্রের কাউকে জাতীর পিতা মানতে হবে,এটা বাধ্য করার জন্য জাওয়াবগুলো দিইনি।
তাছাড়া বিষয়টি যদি স্রেফ রাজনৈতিক হত,তাহলে হয়ত জাওয়াব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা আমি অনুভব করতামনা।প্রয়োজনীয়তা তখন অনুভব করেছি যখন বিষয়টি ধর্মীয় আলোকেও চলে এসেছে।
লেখকঃ-হাসনাইন আহমদ কাদেরী
সম্মানিত পাঠকগন,আমি অনলাইনে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব দিয়ে থাকি সুবাধে গত কয়েকদিন "জাতির পিতা বিষয়ক আমি বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম।
তারমধ্যে দুটি প্রশ্নের জাওয়াব দেয়াকে আমি প্রয়োজন মনে করেছি।
আমার অনুরোধ, আমার লেখায় কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব,বা দালালি অর্থ তালাশ করবেননা।
প্রশ্নঃ-
১.কাউকে জাতির পিতা বলা যাবে কিনা?
২.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুসলিম জাতীর পিতা বললে অসুবিধা কি?
আমি চিন্তা করলাম বিষয়গুলোর জাওয়াব দেয়া খুবই প্রয়োজন, কারন বিষয়টি শুধু রাজনৈতিক নয় ধর্মীয় বিশ্বাসেরও ব্যাপার রয়েছে,কারন এটা আমরা জানি মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আঃ।
তাই আমি আাশা করবো আমার লিখাটি সম্পুর্ন না পড়ে খারাপ কোন মন্তব্য করবেননা।
১.প্রথম প্রশ্নের জাওয়াবঃ-
আমরা বাংলাদেশের নাগরীক,ভাষা আমাদের বাংলা। এই দেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ইত্যাদী সকল ধর্মের মানুষ বাঙ্গালী জাতী।এজন্য আমাদেরকে এই দেশের সরকার "জাতীয় পরিচয় পত্র" দিয়ে থাকেন,যা ধর্মীয় সুত্রে নয় বরং শুধুমাত্র এই দেশের নাগরীক হওয়ার কারনে।তাই "জাতী" বলতে শুধু মুসলিমজাতি বুঝাবে এই অর্থ ঠিক নয়।
জাতীর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে,যেমন-মানব হিসবে আমরা মানবজাতি।আবার এই মানবজাতির বিভিন্ন প্রকার রয়েছে,যেমন -পুরুষজাতি,নারীজাতি ইত্যাদি।অপরদিকে প্রানী জগতে পশুজাতি রয়েছে,এবং যাদের জাতিগত বিভিন্ন প্রকার রয়েছে।
তাই জাতি বলতে শুধু মুসলিম জাতি বুঝাবে এই ধারনা কখনো সঠিক নয়।জাতি ধর্মীয়ও হতে স্বাধীনতায় অর্জিত ভাষাগত জাতিও হতে পারে।
আর এই জাতীর স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষ যদি কাউকে স্হপতি হিসেবে জাতীর পিতা বলে এতে শুধু মুসলিম জাতির পিতা বুঝা যেমন ঠিক নয়,বুঝানোও ঠিক নয়।
কারন বাংলাদেশে নাগরিক হিসেবে শুধু মুসলিম আছে যে তা নয়,এখানে ভিন্ন ধর্মের লোকও নাগরিক হিসেবে বসবাস করছে।তাই কেউ কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বা স্হপতি হিসেবে "জাতির পিতা" বললে তাহলে শরীয়তে দৃষ্টিতে আমি কোন অসুবিধা দেখতে পাইনা।
দ্রঃ-খেয়াল রাখতে হবে শুধু উদ্যোক্তার উদ্যোগে একটা কাজ সফল হয়না।কর্মীদের রক্তঝরা অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে উদ্যোক্তাকে সফল করে থাকে।আর ঐ কর্মীদের প্রতি জনগনের কেউ সঠিক অর্থে ভালবাসা বহিঃপ্রকাশ করলে,তাদেরকে হয়রানি করা অন্যায় বলে বিবেচিত হবে।কর্মীদের অবদান স্বরন করাও বাঙ্গালী জাতীর কর্তব্য।
২.দ্বিতীয় প্রশ্নের জাওয়াবঃ-
শুধু মুসলিম জাতির পিতা বলতে বিষয়টি ধর্মীয় আকিদার অন্তর্ভুক্ত হবে।মুসলিম জাতীর পিতা হিসেবে আমরা কোরআন ও হাদীসে ইব্রাহিম আঃ কে দেখতে পাই।তাই কেউ যদি জাতীর পিতা বলতে সমগ্র মুসলিম জাতীর পিতা "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে" বুঝায়, তাহলে বিষয়টি সরাসরি কোরআন সুন্নাহ বিরোধী হবে,এবং তার আকিদা নষ্ট হয়ে যাবে।
দ্রঃ-কেউ যদি রাজনৈতিক কারনে কাউকে বাঙ্গালী জাতীর স্বাধীনতার স্হপতি হিসেবে মানতে না চায়, এটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার।আমি শুধু প্রশ্নের আলোকে "জাতির পিতা" এই কথাটির রাষ্ট্রীয়,ধর্মীয় ওজনগনের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে জাওয়াব পেশ করেছি।
রাষ্ট্রের কাউকে জাতীর পিতা মানতে হবে,এটা বাধ্য করার জন্য জাওয়াবগুলো দিইনি।
তাছাড়া বিষয়টি যদি স্রেফ রাজনৈতিক হত,তাহলে হয়ত জাওয়াব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা আমি অনুভব করতামনা।প্রয়োজনীয়তা তখন অনুভব করেছি যখন বিষয়টি ধর্মীয় আলোকেও চলে এসেছে।
No comments