সকল নবীগণের মধ্যে আমাদের নবীর শ্রেষ্ঠত্ব:(১)

সকল নবীগণের মধ্যে আমাদের নবীর শ্রেষ্ঠত্ব:(১)

প্রথম আয়াত :- মহান আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন-

واذ اخذ الله ميثاق النبيين لما اتيتكم من كتاب وحكمة ثم جاءكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال أأقررتم واخذ تم على ذالكم اصرى قالوا اقررنا قال فاشهدوا وانا معكم من الشاهدين - فمن تولى بعد

الفاسقون -  ذالك فاولئك هم

"হে মাহবুব! স্মরণ করুন, যখন আল্লাহ সকল নবীদের থেকে ওয়াদা নিয়েছেন যে, আমি তোমাদেরকে কিতাব ও হিকমত দেব, অতঃপর যদি একজন সম্মানিত রাসুল এসে যান, যিনি তোমাদের সাথে যা কিছু রয়েছে এগুলোকে সত্যায়ন করবেন, তাহলে তোমরা নিশ্চয় নিশ্চয় তাঁর উপর ঈমান আনায়ন করবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে। আল্লাহ ইরশাদ করেন- তোমরা কি এটা মানলে? এবং আমার এ গুরু দায়িত্ব কি গ্রহণ করলে? নবীগণ বললেন- আমরা মেনে নিলাম।

আল্লাহ ইরশাদ করলেন- তোমরা পরস্পর স্বাক্ষী হও, আর আমিও তোমাদের সাথে স্বাক্ষী। এখন যারা এর পরেও ফিরে যাবে এরাই ফাসিক"।
(সুরা আলে ইমরান, আয়াত-৮১)
প্রখ্যাত ইমাম আবু জাফর তাবারী ও অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ উক্ত আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে সমগ্র মুসলমান জাতির মওলা, আমিরুল মো'মেনীন হযরত আলী (করামাল্লাহু ওয়াজহাহু) থেকে বর্ণনা করেন-

لم يبعث الله نبيا من آدم فمن دونه الا اخذ عليه العهد في محمد صلى الله عليه وسلم لئن بعث وهو حي ليؤمنن به ولينصرنه وباخذ العهد بذالك

(1) على قومه

"আল্লাহ তা'য়ালা হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে যত নবী- রাসুল প্রেরণ করেন, সবার থেকে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র ব্যাপারে এ বলে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, যদি এ নবীর যুগে তোমরা প্রেরিত হও তবে তাঁর উপর ঈমান আনয়ন ও তাঁকে সহযোগিতা করবে। আর স্ব-স্ব উম্মতদের থেকেও এ ব্যাপারে ওয়াদা নেবে"।
★আল মাওয়াহিবুল লুদুনিয়্যাহ, কৃত- আল্লামা কুস্তালানী, ১ম খন্ড, পৃঃ৬৬।
অনুরূপ এ উম্মতের সুপন্ডিত কোরআন বিশেষজ্ঞ মুফাসীর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু- এর বরাতে ইবনে জরীর ( তাফসিরে তাবারী-৩য় খন্ড, ৩৮৭ পৃ:) ইবনে আসাকের, বদর জারকাসী, হাফেজ এমাদ বিন কসীর ও ইমামুল হুফফাজ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী প্রমুখ ওলামাগণ উপরোক্ত উক্তিটিকে ছহীহ বুখারীর উদ্ধৃতি মর্মে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তা'য়ালাই ভাল জানেন। এভাবে ইমাম ইবনে আবী হাতেম তার তাফসীরে ইমাম সুদ্দীর বর্ণনার বরাতে আরো ব্যাপক আলোচনা করেছেন। ইমাম হাফেজ জালালুদ্দীন ছুয়ূতীও তার খাছায়েছে কুবরা নামক হাদীস গ্রন্থে এহাদীসটি সংকলন করেছেন। (আল খাছাইছুল কুবরা, কৃত: ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী, ১ম খন্ড, পৃ:৮)

এই খোদায়ী ওয়াদা মোতাবেক সর্বদা সম্মানিত নবীগণ (আলাইহিমুস সালাতু ওয়াসসালাম) হুযূর সায়্যিদুল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু তা'য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র পদমর্যাদার প্রশংসা ও গুণে-গানে মুখরিত থাকতেন। তারা স্ব-স্ব ফেরেস্তাবেষ্টিত সভা সমাবেশ গুলোকে হুযূরের স্মরণ ও প্রশংসা দ্বারা সৌন্দর্য্য মন্ডিত করতেন। আর আপন উম্মতদের থেকে হুজুর করীম সাল্লাল্লাহু তা'য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র প্রতি ঈমান আনয়নের ব্যাপারে মজবুত ওয়াদা নিতেন। এ ধারাবাহিকতায় কুমারী সান্দ্বী রমনীর পবিত্র সন্তান হযরত মসীহ্ কলিমাতুল্লাহ (আলাইহিমাসসালাম) ও এ শুভ সংবাদ নিয়ে আবির্ভূত হন। কুরআনুল করীমে উদ্ধৃতি এসেছে এভাবে-  مبشرا برسول يأتى من بعدی اسمه احمد

"আমি শুভ সংবাদ প্রদান করছি এমন একজন রাসুলের, যিনি আমার পরে তাশরীফ আনবেন, তার নাম আহমদ"।
★ সুরা সাফফ, আয়াত-৬


যখন সকল নক্ষত্ররাজি ও পূর্ণশশী অস্তমিত হলো, তখন সকল নবীগণের খতমীয়ত বা সমাপনের মর্যাদা নিয়ে, বিশ্ব উজ্জ্বলকারী নবুয়তের সূর্য সহস্রাধিক উচ্চ পদ মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের অধিকারী হুযূর কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা তাশরীফ আনলেন। ইবনে আসাকের সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন-

لم يزل الله يتقدم في النبى صلى الله عليه وسلم إلى آدم فمن بعده ولم تزل الامم تتباشر به وتستفتح به حتى أخرجه الله في خير امته وفي خير قرن وفي خير اصحاب وفي خير بلد (۵)

"সর্বদা আল্লাহ তা'য়ালা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার ব্যাপারে হযরত আদম ও তার পরবর্তী সকল নবীগণ কে ভবিষ্যৎ বানী দিয়ে থাকতেন, পূর্বকার সকল নবীর উম্মতগণ হুযুরের আগমনের খুশি মানাতেন। হুযূরের ওসীলায় আপন শত্রুদের উপর বিজয় প্রার্থনা করতেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা'য়ালা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামাকে শ্রেষ্ঠতম উম্মতে, শ্রেষ্ঠতম বংশে, শ্রেষ্ঠতম সাথীদের মাঝে ও শ্রেষ্ঠতম শহরে প্রেরণ করলেন।"
★আল খাছাইছুল কুবরা, ১ম খন্ড, পৃ:০৯।

যার সত্যায়ন কুরআনুল কারীমেই রয়েছে-

সত্যায়ন কুরআনুল কারীমেই রয়েছে-

وكانوا من قبل يستفتحون على الذين كفروا فلما جائهم ما عرفوا كفروا به فلعنة الله على الكافرين - 
"নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামা'র আগমনের পূর্বে তারা কাফিরদের উপর তাঁর ওসিলায় বিজয় প্রার্থনা করত, অতঃপর যখন তিনি তাদের নিকট আগমন করলেন, তারা তাঁকে চেনা-জানা সত্ত্বেও অস্বীকার করে বসল। কাফিরদের উপর আল্লাহর লানত বা অভিসম্পাত"।
★সুরা বাকারা, আয়াত-৮৯

ওলামাগণ এ আয়াতের তাফসীরে বলেন- যখন ইহুদীরা মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করত তখন তারা এভাবে দোয়া করত-

اللهم انصرنا عليهم بالنبي المبعوث في آخر الزمان نجد صفته في

 التوراة

"হে আল্লাহ! আমাদেরকে তাওরীতে বর্ণিত গুণাবলীর ধারক, শেষ জামানায় প্রেরণের প্রতিশ্রুত নবীর ওসীলায় কাফিরদের উপর বিজয় দান করুন"।
★তাফসীরে জালালাইন, পৃ:১৪, তাফসিরে দুররে মনসুর, ১ম খন্ড,পৃ:১৭৬।

এ দোয়ার বরকতে আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দান করতেন। এ খোদায়ী বাণীর কারণে হাদীছে পাকে এসেছে, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ করেছেন-

والذي نفسي بيده لو ان موسى كان حيا اليوم ما وسعه الا ان يتبعنى 

"ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, আজকে যদি হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও দুনিয়ায় থাকতেন তবে আমার অনুসরণ ছাড়া তাঁর অন্য কোন অবকাশ থাকত না"।
★সুনানে দারেমী, ১ম খন্ড,পৃ:১১০

এ হাদীসটি ইমাম আহমদ, ইমাম দারমী ও ইমাম বায়হাকী শোয়াবুল ঈমানে হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ থেকে, আর আবু নুয়াইম ইস্পাহানী তাঁর দালায়েলুন নুবুয়তে হযরত ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেছেন।

এ কারণে শেষ জামানায় হযরত ঈসা আলাইহিচ্ছালাম নবুয়ত ও রেসালতের মহান মর্যাদা থাকা সত্বেও হুযূর পুরনূর ছাইয়িদুল মুরছালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম'র উম্মত রূপে এ পৃথিবীতে আভির্ভূত হবেন। তাঁরই শরীয়তের উপর তিনি আমল করবেন। ইমাম মাহদীর পেছনে নামাজ আদায় করবেন। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইরশাদ করেন-

كيف أنتم اذا نزل ابن مريم فيكم وأمامكم منكم 
"তোমরা কতইনা সৌভাগ্যবান, যখন হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম তোমাদের মধ্যে আগমন করবেন অথচ তোমাদের ইমাম তোমাদের থেকে হবেন।” (অর্থাৎ ইমাম মাহদীই ইমাম হবেন)।
★বুখারী শরীফ, ১ম খন্ড, ১১০ পৃ:।

এ হাদিসটি ইমাম বুখারী ও মুসলিমদ্বয় হযরত আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন।

আর এই মজবুত প্রতিজ্ঞার কথা যা ১নং আয়াতে বিবৃত, তাওরীত কিতাবে আল্লাহ তা'য়ালা তা নিশ্চয়তা ও দৃঢ়তার সাথে এরশাদ করেছেন। যার কিছু কিছু আয়াত ইন্‌শা আল্লাহু তায়ালা দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচনা হবে। ইমাম আল্লামা তকীউল মিল্লাতে ওয়াদ্বীন আবুল হাছান আলী বিন আব্দুল্লাহ ক্বাফী সুবুকী রাহমাতুল্লাহে আলাইহি এ আয়াতের তাফসীর সম্বলিত একটি চমৎকার পুস্তিকা রচনা করেছেন। যার নাম-

التعظيم والمنة في لتؤمنه به ولتنصرنه 

(আত্ তাজীম ওয়াল মীন্নাহ ফী লাতু মিনুন্নাহ বীহি ওয়ালা তানসুরান্নাহ)

উক্ত কিতাবে তিনি এ পবিত্র আয়াত মর্মে প্রমান করেছেন যে, আমাদের হুযূর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা হচ্ছেন সকল নবীগনের নবী, সকল নবী-রাসূল ও তাদের উম্মতগণ প্রকৃতপক্ষে হুযূর করীম সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামারই উম্মত। হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার নবুয়ত ও রেছালত, হযরত আবুল বশর আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টিকে পরিব্যাপ্ত করে রেখেছেন। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ করেন-

كنت نبيا وآدم بين الروح والجسد - 

"আমি নবী ছিলাম যখন হযরত আদম আলাইহিস্সালাম শরীর এবং আত্মার মধ্যখানে ছিলেন"।
★খাছাইছুল কুবরা, ১ম খন্ড,পৃ: ০৪।

এ হাদিসটি দ্বারা উপরোক্ত কথাগুলোর বাস্তবতাই বুঝা যায়। যদি আমাদের হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা হযরত আদম, নূহ, ইব্রাহীম, মুসা ও ঈসা আলাইহিমুস সালাম এদের সময়ে তাশরীফ আনতেন, তাহলে তাঁর উপর ঈমান আনয়ন ও তাঁকে সহযোগিতা করা তাঁদের উপর ফরয হয়ে যেত। কেননা আল্লাহ তা'য়ালা তো এটার ব্যাপাবেই তাঁদের থেকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন। হুযুর সকল নবীদের নবী হওয়ার কারণেই তো মে'রাজ রজনীতে সকল নবীগণ তাঁরই পেছনে ইকতিদা করেছেন। এ শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ান্ত বিকাশ কিয়ামত দিবসেই হবে।

ঐদিন আদম থেকে শুরু করে সকল নবী-রাসূল ও তাদের উম্মতগণ হুযুরেরই ঝান্ডার নিচে আশ্রিত হবেন।

صلوات الله وسلامه عليه وعليهم أجمعين 
ইমাম সুবুকীর উক্ত পুস্তিকাটি খুবই চমৎকার। যার কথা এবং উদ্ধৃতি ইমাম জালালুদ্দীন সুযুতী খাছায়েছুল কুরা, ইমাম শিহাবুদ্দীন কুস্তুলানী মাওয়াহেবুল লুদুনীয়া এবং পরবর্তী ইমামগণও আপন আপন রচনা গুলোতে সংকলন এনেছেন। এ কিতাবটিকে তারা নিয়ামতে ওজমা বা মহা নিয়ামত ও মাওয়াহেবে কুররা বা খোদায়ী বড় দান বলে মন্তব্য করেছেন। আগ্রহী পাঠকগণের প্রতি উক্ত পুস্তিকা সমূহ পড়ে দেখার অনুরোধ রইল।

মোদ্দা কথা হচ্ছে যে, যদি কোন মুসলমান ঈমানী দৃষ্টি দিয়ে উক্ত আয়াতটিকে তার বর্ণনা শৈলীর দিকে থাকায়, তাহলে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাবে যে, হুযূর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা হচ্ছেন আসলুল উসুল বা সর্বমূল। উম্মতগণের সাথে নবী রাসূলগণের যে সম্পর্ক, অনুরূপ অন্যান্য নবী রাসূলদের সাথে সৃজনক্ল সম্রাট মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র সম্পর্ক। উম্মতদের উপর ফরয করতেছেন যে তোমরা রাসূলদের উপর ঈমান আনয়ন কর। আর রাসূলদের থেকে প্রতিজ্ঞা নেয়া হচ্ছে যে, তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র উপর ঈমান আনয়ন ও তার গোলামী কর। আয়াতে সু-স্পষ্টভাবে একথাই ঘোষিত হচ্ছে যে, তিনিই হচ্ছেন মাকসুদে আসলী বা আসল উদ্দেশ্য। বাকিরা সকল তাঁরই অনুসারী এবং তারই বদান্যতায় ধন্য। কবি কতইনা সুন্দর বলেছেন-

مقصود ذات او است دیگر جملگی طفیل

"প্রকৃতপক্ষে খোদার মকসুদ বা উদ্দেশ্য হচ্ছেন তিনিই (নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" আর অন্যরা তারই কারণে সৃষ্ট ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। আল্লাহ প্রদত্ত তওফিকে বলিয়ান হয়ে এ অধম বলতেছি যে, এই মর্ম কথাটির উপর কুরআনুল করীম কতইনা গুরুত্বারোপ করেছেন। এবং বিভিন্ন ধরনের তাগিদ মূলক শব্দ সম্ভার নিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.